মঙ্গল শোভাযাত্রার পরে সারাদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলেন মিশিগান কালীবাড়ীর সভাপতি শ্যামা হালদার। অনুষ্ঠান আয়োজনের সমন্বয়ক ছিলেন মিত্রা চক্রবর্তী, গৌতম গুহ, স্বর্ণা ধর ও শতরূপা চৌধুরী। তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রবাসের মাটিতে বাংলা সংস্কৃতির প্রাণ ছুঁয়ে গেল দর্শকদের হৃদয়ে।

মিত্রা চক্রবর্তী ও সুরভী বনিকের অনবদ্য সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একক ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন আত্রেয়ী রয়, সুশান্ত সরকার, রায় পরিবার, ত্রয়ী রায়, শতাব্দী রায়, অদিতি রায়, শ্রেয়শী পাল, সুমি দত্ত ও তাঁর ছাত্রছাত্রীরা, রিশান ও ঋদ্ধিমা পাল, অতাশী চৌধুরী ও পৃথিলা দত্ত, শ্রাবণ সরকার ও সমৃদ্ধি বৈদ্য, অন্দ্রিতা হালদার, আরুশি চ্যাটার্জি, শ্রেয়শী পাল, অর্পিতা রায়, জয়িতা নন্দী, রিংকু দাস এবং পিংকু দাস। সাদা কালা ব্যান্ডের পরিবেশনা ছিল বিশেষ আকর্ষণ।

নৃত্য পরিবেশন করেন পৃথিলা দত্ত, বৃন্তি দে, অদিতি ধর, অরেল চ্যাটার্জি ও আরুশি চ্যাটার্জি, অনুষ্কা মণ্ডল, গুনগুন গুহ ও দেবশ্রী রায়, অরোরা ঘোষ, ঋদ্ধিমা, শায়োনী, শানভি, সমৃদ্ধি, আদৃতা হালদার, রনিত রায়, পরম রায়, দিবম সাহা, রুদ্র মহাতো, স্পৃহা দাস, দীপা দে, শানভী দেব, অর্ক রায়, রোয়ান চৌধুরী, শোভন সরকার, ঋতিকা রায়, আথিলী রায়, পৃথিলা রায় হৃদি, বন্যা ও অনন্যা চৌধুরী, ঋষিকা রায়, আদ্রিজা চৌধুরী, মুনমুন, শায়ন ও আদ্রিজা।

কবিতা আবৃত্তি করেন শ্রাবণ সরকার, অন্দ্রিতা হালদার এবং জনা দাস। দিনের শেষ আকর্ষণ ছিল নাটক “লন্ডনী ফুরির বিয়া”— যা দর্শকদের মন জয় করে নেয় হাস্যরস আর বাস্তবতার মিশেলে। এই আয়োজন প্রবাসী বাঙালিদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয় এবং নতুন বছরের আগমনকে করে তোলে স্মরণীয়।
